সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল দিরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ দুই ছাত্রীকে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

নদীর প্রাণ ফিরে এলে, হাওরের জীবনও বাঁচবে

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ১২:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ১২:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন
নদীর প্রাণ ফিরে এলে, হাওরের জীবনও বাঁচবে
দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর নাব্যতা হারানোর চিত্রটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার নয়, বরং এটি গোটা হাওরাঞ্চলের নদ-নদী ব্যবস্থার বিপন্নতার একটি উদাহরণ। খাসিয়ামারা নদীর ওপর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবারড্যাম আজ অকার্যকর হয়ে পড়ছে শুধুমাত্র অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে। পলি ও বালির টেক জমে থাকায় এই নদী এখন মৃতপ্রায়। এ থেকে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর ভবিষ্যৎ আঁচ করা যায়। সুনামগঞ্জের জীবন-জীবিকা, কৃষি ও পরিবেশ নির্ভর করে সুরমা, রক্তি, যাদুকাটা, বৌলাইসহ অসংখ্য নদী-খালের উপর। হাওরের প্রাণ হচ্ছে এসব নদীর প্রবাহ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন ধরে কোনো পরিকল্পিত ড্রেজিং না হওয়ায় এসব নদীও এখন দিনদিন মৃতপ্রায় হয়ে উঠছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ বন্ধ থাকে, আবার বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই হাওর তলিয়ে যায়, আগাম বন্যায় ফসলহানির ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। ফলে একদিকে কৃষকের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে হাওরের সার্বিক পরিবেশগত ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। এক সময় হাওরাঞ্চলের নদ-নদী ছিল প্রবহমান, কৃষকের মাঠে পানি পৌঁছাত সহজেই, বর্ষাকালে তা আবার দ্রুত নিষ্কাশন হতো। কিন্তু এখন খনন না হওয়ায় নদীগুলোতে স্থায়ীভাবে পলি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, রাবারড্যামসহ অন্যান্য অবকাঠামো কার্যকারিতা হারাচ্ছে। আমরা মনে করি, নদী খনন কেবল কৃষকের জন্য পানির সংস্থান নয়, এটি হাওরের অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি মৌলিক কাজ। এখন সময় এসেছে, নদ-নদী খননকে একটি জরুরি জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে ঘোষণা করার। প্রতি বছর যে বাজেট কৃষি উন্নয়ন কিংবা বন্যা প্রতিরোধে ব্যয় হয়, তার একটি অংশ নিয়মিত নদী খননের জন্য বরাদ্দ করা জরুরি। জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর জরুরি ভিত্তিতে একটি ড্রেজিং মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। আমরা দেখেছি, খাসিয়ামারা নদীর মতো ছোট নদীগুলোর উপরও হাজার হাজার কৃষক নির্ভরশীল। অথচ একটি নদী খননের অভাবে কোটি টাকার অবকাঠামো যেমন রাবারড্যাম অকেজো হয়ে পড়ছে, তেমনি কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে সেচের পানির সুবিধা থেকে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শুধু কৃষি নয়, হাওরের সামগ্রিক ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিভাগকে অনুরোধ জানাই- হাওরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর খনন প্রকল্প দ্রুত হাতে নিন। শুধু কাগজে-কলমে নয়, মাঠপর্যায়ে দৃশ্যমান কাজ দেখতে চায় হাওরের মানুষ। নদীর প্রাণ ফিরে এলে, হাওরের জীবনও বাঁচবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ

৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ